চুলের ধরন বুঝে সঠিক নিয়মে চুলের পরিচর্যা

প্রিয় পাঠক আপনি কি চুলের সমস্যায় ভুগছেন বুঝতে পারছেন না কিভাবে আপনি চুলের যত্ন নিবেন।  তাহলে আর্টিকেলটি আপনার জন্য এই আর্টিকেলে চুলের ধরন বুঝে সঠিক নিয়মে চুলের পরিচর্যা করার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করা আছে । চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক  চুলের ধরন বুঝে সঠিক নিয়মে চুলের পরিচর্যা করার নিয়ম সম্পর্কে । 

 চুলের-ধরন-বুঝে-সঠিক-নিয়মে-চুলের-পরিচর্যা

ভুমিকা 

যেকোনো কিছু ভালো রাখতে তার নিয়মিত পরিচর্যা দরকার | সুন্দর থাকতে শুধু ত্বকের পরিচর্যা করলে হবে না যত্ন নিতে হবে চুলেরও | চুলের বিশেষ কোনো সমস্যা থাকলে সে অনুযায়ী তার পরিচর্যা করতে হবে এবং চুলের ধরন অনুযায়ী চুলের পরিচর্যা করতে হবে | তেমন সমস্যা না থাকলেও চুল ভালো রাখতে নিয়মিত এর যত্ন নিতে হবে | 
কিভাবে করবেন চুলের ধরন বুঝে সঠিক নিয়মে চুলের প্রতিদিনের পরিচর্যা পরামর্শ দিয়েছেন রূপ বিশেষজ্ঞ শারমিন কচি | তিনি বলেন প্রতিদিনের চুলের যত্ন মানে হচ্ছে চুল ধোয়া থেকে শুরু করে কন্ডিশনিং এবং মেইনটেন্স টাকেই বুঝায় | 
চলুন জেনে নিই পরিচর্যার খুঁটিনাটি । 

সঠিকভাবে চুল পরিষ্কার করার পদ্ধতি  

চুলের পরিচর্যার প্রথম শর্তই হচ্ছে পরিছন্নতা | তাই বলে চুল পরিষ্কার করা মানে শুধু শ্যাম্পু করায় কিন্তু যথেষ্ট নয় | জানতে হবে সঠিকভাবে শ্যাম্পু করার পদ্ধতি |
চলুন জেনে নিই সঠিকভাবে চুল পরিষ্কার করার নিয়ম :
  • শ্যাম্পু করার পদ্ধতিঃ প্রথমেই মনে রাখুন শ্যাম্পুটা বেছে নিতে হবে আপনার চুলের ধরন অনুযায়ী | রুক্ষ, তৈলাক্ত কিংবা স্বাভাবিক চুলের জন্য আলাদা আলাদা শ্যাম্পু বাজারে পাওয়া যায় | প্রথমে দেখুন আপনার চুল কোন পর্যায়ে পরে এবং সেই অনুযায়ী শ্যাম্পু নির্বাচন করুন | এবার প্রথমে চুলটা আঁচড়ে নিন | এরপর স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানির অর্থাৎ গরমও নয় আবার খুব ঠান্ডাও নয় এমন পানিতে পুরো চুল ভিজিয়ে নিন | এরপর পরিমাণ মতো শ্যাম্পু নিয়ে পুরো চুলে লাগিয়ে ফেনা তৈরি করুন | প্রথমে দুই হাতের আঙ্গুল গুলো চুলের ভেতর ঢুকিয়ে আস্তে আস্তে লাগান | এরপর পুরো চুলে লাগান | এরপর পানি দিয়ে ভালো করে চুল ধুয়ে ফেলুন | চুল ধোয়ার পরে যদি মনে হয় ভালো পরিষ্কার হয়নি কিংবা চটচোটে ভাব ও জট রয়ে গেছে তাহলে আবার শ্যাম্পু করুন | শ্যাম্পু করা শেষ হলে চুল পানি দিয়ে ভালো করে পরিষ্কার করুন | চুলে যেন একটুও শ্যাম্পু লেগে না থাকে | 
  • যেভাবে করবেন কন্ডিশনিংঃ চুল ধোয়ার পর একটা শুকনো তোয়ালে দিয়ে চুলটা জড়িয়ে নিন | মিনিট পাঁচেক রাখলে চুলের পানিটা ঝরে যাবে | এরপর হলে পাঁচ সাত মিনিট অপেক্ষা করুন | এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে নিন | তোয়ালে দিয়ে হালকা ভাবে চুল মুছে নিন | পরিমাণ মতো কন্ডিশনার নিয়ে লাগান প্রথমে চুলের গোড়ায় ও পরে চুলের ওপরে | কন্ডিশনার লাগানর পরে ৫-৭ মিনিট পরে পানি  ভালভাবে চুল পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
  • চুলের যত্নে স্ক্যাল্প ম্যাসাজঃ হট অয়েল ম্যাসাজ মাথার ত্বকের জন্য উপকারী | আর এই মাথার ত্বকের ম্যাসাজ করাই হচ্ছে স্কাল্প ম্যাসাজ| নিয়মিত স্কাল্পে তেল ম্যাসাজ করলে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয় | এতে চুলের অনেক সমস্যায় কমে যায় এবং চুল তাড়াতাড়ি বাড়ে | অনেকেই স্কাল্প ম্যাসাজ করার জন্য পার্লারে যান | তবে আপনার হাতে যদি সময় থাকে তাহলে ইচ্ছে করলে ঘরে বসেই আপনি নিজেই করতে পারেন স্ক্যাল্প ম্যাসাজ | 

চলুন জেনে নিই কিভাবে করবেন স্কাল্প ম্যাসাজ 

  •  প্রথমে একটি বাটিতে পরিমাণ মতো নারকেল তেল অথবা অলিভ অয়েল নিয়ে হালকা গরম করুন |
  •  এরপর তেলের মধ্যে ছোট একটা তুলোর বল ডুবিয়ে তেল নিংড়ে নিন |
  • এবার ওই কটন বলের সাহায্যে চুলে ছোট ছোট বিলি কেটে কেটে সিঁথির ওপর দিয়ে তেল লাগিয়ে নিন |
  •  মাথার ত্বকে আস্তে আস্তে ঘষে তেল লাগান |
  •  পুরো স্কাল্পে তেল লাগানো হয়ে গেলে এবার ম্যাসাজ করুন |
  •  সার্কুলার মুভমেন্টে অর্থাৎ হাত ঘুরিয়ে আলতোভাবে ম্যাসাজ করুন |
  •  এরপর গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে পানি নিংড়ে সব চুল পেচিয়ে রাখুন পাঁচ সাত মিনিট | এতে চুলের গোড়ায় তেলটা বসবে ভালো | তোয়ালে খোলার পর অন্তত১৫ মিনিট চুল ওভাবেই রাখুন আর যদি সময় থাকে তাহলে ঘন্টা দুয়েক রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন |
  •  এ ট্রিটমেন্ট সপ্তাহে একবার করতে পারলে ভালো | অন্তত মাস ছয়েক নিয়মিত করলে আপনার চুলের অনেক সমস্যায় আর থাকবে না এবং চুল হবে ঝলমলে |
  • পরিচর্যার আগে ত্বকের মতো চুলের ধরন বুঝে নেয়া জরুরি | কারণ শুষ্ক, তৈলাক্ত কিংবা স্বাভাবিক প্রত্যেক প্রকার চুলের যত্ন নিতে হয় আলাদাভাবে | কাজেই পরিচর্যা প্রথম ধাপই হচ্ছে সঠিক ধরণ নির্ণয় |
চলুন এখন আমরা জেনে নিই কোন ধরনের চুলের পরিচর্যা কেমন হবে |

শুষ্ক  চুলের যত্ন

শুষ্ক চুল নিয়ন্ত্রন করা সবচেয়ে কঠিন কাজ | কারণ এ ধরনের চুল থাকে রুক্ষ ,এলোমেলো ,অবিন্যস্ত |এছাড়া চুলের আগা ফাটা সমস্যা তো থাকেই | চলুন জেনে নিই কিভাবে করতে হবে শুষ্ক চুলের পরিচর্যা:
শুষ্ক-চুলের-যত্ন-নেওয়া

শ্যামপুর আগে তেল

অনেকেই মাথায় তেল একেবারেই দেন না | এতে যে খুব সমস্যা হয় তাও নয় | তবে যাদের চুল শুষ্ক প্রকৃতির তেল কিন্তু তাদের জন্য ভালো | শ্যাম্পু করার আগে চুলে তেল মাখলে চুল বেশ নরম হয় | তবে তেল শুধু মাখলেই হবে না, একটু বুঝেশুনে নিয়ম মত মাখলে উপকারটা বেশি হবে | আর চুলের জন্য বেশ উপকারীহট অয়েল ম্যাসাজ আর এটা কিভাবে করতে হবে তা আগেই উল্লেখ করেছি |

শ্যাম্পু করুন বুঝে শুনে 

অনেক সময় আমরা যেকোনো একটা শ্যাম্পু কিনে নিই | এটা ঠিক নয় প্রত্যেক প্রকারের চুলের জন্য আলাদা শ্যাম্পু বাজারে পাওয়া যায় | শুষ্ক চুলের জন্য মাইল্ড শ্যাম্পু উপযোগী | হারবাল শ্যাম্পু শুষ্ক চুলের জন্য উপযোগী|শ্যামপুর পর অবশ্যই চুলের ক্রিম কন্ডিশনার দরকার | এছাড়াও চুল ধোয়ার পর এক মগ পানি সঙ্গে এক কাপ ঠান্ডা চায়ের লিকার অথবা সিরকা মিশিয়ে চুলটা ধুয়ে নিবেন | এতে চুল মসৃণ ও চকচকে হবে |
 এছাড়া যাদের চুল বেশি রুক্ষ তারা সিল্কি পোরশান বা লিভন জাতীয় কন্ডিশনারও লাগাতে পারেন | এই কন্ডিশনার লাগানোর পর চুল আর ধুবেন না | বরং চুল ধোয়ার পর হালকা ভাবে চুলটা মুছে ভেজা চুলে লাগিয়ে নেবেন | তারপর চুল আঁচড়াবেন,এতে চুল ছিড়বেও না, রুক্ষ ভাবও কমে যাবে | মাঝে মাঝে সম্ভব হলে সপ্তাহে একবার চুল ডিপ কন্ডিশনিং করুন | চুল কালার বা রিবন্ডিং করা হলে ডিপ কন্ডিশনিং অবশ্যই করবেন |

আরো জেনে নিন

যাদের চুল অতিরিক্ত শুষ্ক আগা ফাটা ও ভঙ্গুর তারা ডিমের সঙ্গে মধু ,লেবুর রস ,গ্লিসারিন মিশিয়ে চুলের গোড়া ও আগায় লাগান | ঘন্টাখানেক পর ধুয়ে ফেলুন |
 শ্যাম্পু কেনার সময় মশ্চারাইজার ও ভিটামিন ই সমৃদ্ধ শ্যাম্পু বেছে নিন |

তৈলাক্ত চুলের পরিচর্যা

তৈলাক্ত ত্বকের মত মাথার স্কেল্প তৈলাক্ত হয়ে থাকে আর তৈলাক্ত স্ক্যাল্পে খুব সহজে ময়লা জমে | ফলে চুল তেলচিটে ও ভারী হয়ে যায় | এর ফলে রক্ত চলাচল ঠিকমতো হতে পারেনা | তৈলাক্ত চুল তাই একদিন পরপর বা প্রয়োজনে প্রতিদিন শ্যাম্পু করুন |
তৈলাক্ত চুলের জন্য যা করবেনঃ 
  • তৈলাক্ত চুলে মাথার ত্বক ঘামে | তাই স্বাভাবিকভাবেই ফ্যান ছেড়ে চুল শুকিয়ে নিন |
  • তারপর মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুলটা আঁচড়ে নিন |
  • রোদে খুব বেশি ঘুরাঘুরি করলে চুলে সানবার্ন হয় | এতে চুলভঙ্গুর ও অনুজ্জ্বল হয়ে যায় |
  • তৈলাক্ত চুলে ময়লা জমার কারণে খুশকির উপদ্রব দেখা যায় যার কারণে চুল পড়া বৃদ্ধি পায় | চুল পড়া রোধ করতে অলিভ অয়েল এর সঙ্গে ডিমের কুসুম ভালো করে মিশিয়ে চুলের গোড়ায় লাগান | আধা ঘন্টা পর শ্যাম্পু করে ফেলুন | এছাড়াও ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে লেবুর রস, নিম পাতার রস ও আদার রস মিশিয়ে লাগান এবং আধাঘন্টা পর শ্যাম্পু করে ফেলুন | এতে খুশকি কমে যাবে |

রঙিন চুলের যত্ন

স্টাইলিশ তরুণী চুলের দিকে চোখ পড়লে দেখবেন এখন আর তাদের চুল ঘন কালো নয় বরং বারগন্ডি, কপার, রঙিন, গোল্ডেন এমনকি রেড পর্যন্ত | আর এটা দেখলে কার না চুল রং করতে ইচ্ছে করে | তবে চুল শুধু, রং করলেই কিন্তু হবে না | চুল যদি রং করে থাকেন তাহলে সেই চুলের জন্য চায় বাড়তি পরিচর্যা ,তা না হলে চুলের ক্ষতি হতে পারে | কিভাবে করবেন রঙিন চুলের যত্ন পরামর্শ দিয়েছেন রূপ বিশেষজ্ঞ শারমিন কচি |

রঙিন-চুলের-যত্ন-নেওয়ার-উপায়-সমূহ

চলুন জেনে নিই রঙিন চুলে যা করবেন

  • কালার করা চুল শ্যাম্পু করার সময় পানির ব্যাপারে সতর্ক হোন | ব্লিচিং দেয়া পানিতে চুল ধুলে কালার হালকা হয়ে যেতে পারে |
  • গরম পানি দিয়ে গোসল করলে চুলের রং নষ্ট হয়ে যায় | কুসুম গরম পানিতে চুল ধুয়ে নিন | চুলের রং ঠিক থাকবে | শ্যাম্পু করার পর চুলে অবশ্যই কন্ডিশনার লাগান |
  • কন্ডিশনার লাগানোর পর চুলে গরম পানির ভাব লাগালে চুলে কন্ডিশনার ভালোভাবে বসে |
  • চুল কালার করার পর কালার চুলের উপযোগী শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার কিনে নিন | তাহলে চুল ও চুলের রং ঠিক থাকবে |
  • চুল কালার করার পর সপ্তাহে অন্তত একদিন হালকা তেল দিয়ে মাথারত্বক ম্যাসাজ করুন |
  • কালার করা চুল খুব ঘনঘন আয়রন ,ব্লোডাই না করাই ভালো | এতে চুলের ময়শ্চারাইজার নষ্ট হয়ে যায় |
  • চুল ড্রায়ার দিয়ে না শুকিয়ে সময় থাকলে চুল স্বাভাবিক ভাবেই শুকাতে দিন | এটাই চুলের জন্য উপকারী |
  • কালার করা চুলে টক দই বা লেবুর রস লাগাবেন না, এতে চুলের রং জ্বলে যাবে |
  • সরাসরি রোদেও খুব বেশিক্ষণ থাকা ঠিক নয়, এতেও চুলের রং নষ্ট হয় | রং করা চুলে হালকা শ্যাম্পু ব্যবহার করুন |
  • সপ্তাহে একদিন রাতে অলিভ অয়েল ,তিলের তেল বা নারকেল তেল হালকা গরম করে লাগান | পরদিন শ্যাম্পু করুন |
  • চুল খুব রাফ হলে ডিপ কন্ডিশনিং এর জন্য সপ্তাহে একদিন এই প্যাকটি লাগান: একটি ডিম ,এক টেবিল চামচ গ্লিসারিন ,২ চা চামচ মধু ,দুই চা চামচ অলিভ অয়েল ভালো করে মিশিয়ে পুরো চুলে লাগান | ঘন্টা দুয়েক পর শ্যাম্পু করে ফেলুন |

লেখকের মন্তব্য 

সবশেষে নজর দিন খাওয়া দাওয়ার দিকে | ব্যালেন্স ডায়েট চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে | এ সময় প্রচুর শাকসবজি ও ফলমূল খান | গরমে খুব বেশি চা ,কফি না খেয়ে বরং প্রচুর পানিপান করুন | আর চা বারবার খাওয়ার অভ্যস্ত হলে গ্রিন টি বেছে নিতে পারেন | এতে করে ত্বক ভালো থাকবে আবার চুলের কোন ক্ষতি হবে না, চুল হবে প্রাণবন্ত | 

আমরা যখন চুলের যত্ন নেবঅবশ্যই চুলের ধরন অনুযায়ী সঠিক নিয়মে চুলের যত্ন নেব | তাহলেই আমাদের চুল হবে স্বাস্থ্যকর ও ঝলমলে সুন্দর |

কিছু টিপস 

  • সব সময় একই শ্যাম্পু ব্যবহার না করে মাস দুয়েক পর পর শ্যাম্পু বদলান |
  • একদম ভেজা চুল আঁচড়াবেন না, এতে চুল ছিঁড়ে যায় |
  • চুল শুকানোর জন্য ঘন ঘন হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করা ঠিক নয় | এতে চুল রুক্ষ হয়ে যায় |
  • চুল আঁচড়ান মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে আলতো হাতে |
  • চুল বড় হলে রাতে ঘুমানোর সময় বেঁধে ঘুমানোই ভালো |
  • অতিরিক্ত শুষ্ক চুলে সপ্তাহে একবার অন্তত হট ওয়েল ম্যাসাজ জরুরী | 
  • তৈলাক্ত চুলে ঘন কন্ডিশনার ব্যবহার করবেন না | এক্ষেত্রে ঘরে তৈরি করা চা পাতার পানি বেশ উপকারী |
  • চুল খুলে ঘুমাবেন না এতে চুল ভেঙে যায় |
  • যেকোনো ধরনের টিপসি বা হেয়ার প্যাক চুলের গোড়ায় তিন সেন্টিমিটার ওপর থেকে লাগান |কারণ প্যাক থেকে ময়লা জমে চুলের গোড়ায় মুখ বন্ধ হয়ে যায় | এতে খুশকি আরো বাড়ে |

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url