প্রাচীন বাংলার ভৌগলিক পরিচয় সমূহ
প্রাচীন বাংলার ভৌগলিক পরিচয় সমূহ সম্পর্কে কি আপনি জানতে চান তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য । প্রাচীন বাংলার ভৌগলিক পরিচয় সমূহ পোস্টিতে বাংলার উৎপত্তি, বাংলা নদ-নদী, বাংলার জনপদ প্রভৃতি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে । আপনি প্রাচীন বাংলার ভৌগোলিক পরিচয় সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন ।
মানুষের সামগ্রিক কর্মকান্ড ও কীর্তিকলাপ এবং তার অবস্থান ও পরিবেশের মধ্যে এক অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক রয়েছে । যেহেতু মানুষের কর্মকান্ড এক বিশেষ ভৌগোলিক পরিবেশে সংঘটিত হয় তাই ভূগোল ইতিহাসের ভিত্তি । আপনি যদি প্রাচীন বাংলার ভৌগোলিক পরিচয় সমূহ জানতে চান তবে অবশ্যই এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন ।
ভূমিকা
ইতিহাস ও ভূগোলের মধ্যে এক নিবিড় যোগ সূত্র রয়েছে। যেহেতু মানুষের কর্মকান্ড এক বিশেষ ভৌগোলিক পরিবেশে সংঘটিত হয়, তাই ভূগোল ইতিহাসের ভিত্তি। বাংলা বলতে বিস্তৃত এক ভূখণ্ডকে বোঝানো হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে একই ভূখণ্ডের মধ্যে বিভিন্ন ভৌগোলিক নামের অবস্থিতি ছিল। ১৯৪৭ এর পূর্বে ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রদেশের ভূখণ্ডই আমাদের আলোচনার বিষয়।
বর্তমানে যা 'বাংলাদেশ' এবং ভারতের 'পশ্চিমবঙ্গ' প্রভূদেশ। ইতিহাসের দৃষ্টিতে এই ভূখণ্ডের একটি আঞ্চলিক সত্তা ছিল এবং ভৌগোলিকগন এই উপমহাদেশের মধ্যে বাংলাকে একটি ভৌগোলিক অঞ্চল বলে স্বীকার করেন। প্রায় ৮০ হাজার বর্গমাইল বিস্তৃত নদী দ্বারা গঠিত এক বিশাল সমভূমি এই বাংলা। নিম্নে এ প্রাচীন বাংলার ভৌগোলিক পরিচয় সমূহ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
বাংলা নামের উৎপত্তি
প্রাচীন বাংলার ভৌগলিক পরিচয় সমূহ একটি অংশ হল বাংলা নামের উৎপত্তি। ইংরেজ শাসনকালের 'বেঙ্গল' (Bengal) যা ১৯৪৭ পর্যন্ত প্রযুক্ত ছিল, যা প্রাচীন বাংলার ভৌগোলিক পরিচয় সমূহ আলোচনার ভূখণ্ডকে বোঝাত। ইংরেজদের 'বেঙ্গল' ও অন্যান্য ইউরোপীয়দের (বিশেষ করে পর্তুগিজদের) 'বেঙ্গালা' থেকেই নেয়া হয়েছে।
এই নামটি তারা আধিপত্য বিস্তারের সময় পেয়েছিল এই ভূ-ভাগ ইউরোপীয়দের কাছে এই নামে পরিচিত ছিল। ষোলো ও সতের শতকে ইউরোপীয়দের লেখনীতে 'বেঙ্গালা' নামে দেশের উল্লেখ পাওয়া যায়। 'বেঙ্গলা' শহরের অবস্থিতি সম্পর্কে পন্ডিত বর্গের মধ্যে মতবিরোধ থাকলেও 'বেঙ্গালা' রাজ্য যে বাংলাদেশ অঞ্চলকে বোঝা তো সে বিষয়ে তেমন কোন সন্দেহ নেই ।
মোগল আমলে এই ভূ-ভাগই 'সুবা বাঙ্গালা' বলে চিহ্নিত হয়েছিল। আবুল ফজল বাঙ্গালা নামের ব্যাখ্যা দিয়েছেন বাঙ্গালার আদি নাম ছিল বঙ্গ প্রাচীনকালে এখানকার রাজারা ১০ গজ উঁচু ও ২০ গজ বিস্তৃত প্রকাণ্ড 'আল' নির্মাণ করতেন এ থেকে বাঙ্গাল বা বাঙ্গালাহ নামের উৎপত্তি। বঙ্গাল দেশের নাম হতে কাল ক্রমে সমগ্র দেশের বাংলা নামকরণ হয়েছে।
বর্তমানকালে বাংলাদেশের অধিবাসীদেরকে যে বাঙ্গাল নামে অভিহিত করা হয় তা সেই প্রাচীন বঙ্গাল দেশের স্মৃতি বহন করছে। সুতরাং বাঙ্গালা বলতে সারা বাংলাকে অর্থাৎ আবুল ফজলের বাঙ্গালা বা ইউরোপীয়দের বেঙ্গালা বা বেঙ্গল কে বুঝিয়েছেন মুসলমান পূর্ব যুগে এই ব্যাপক অর্থে বাংলা বা বাঙ্গালার ব্যবহার পাওয়া যায় না।
ওই সময়ে দ্বারা বাংলার অংশবিশেষ কে নির্দেশ সুকুমার সেন বঙ্গ থেকে বাঙ্গালা বা বাঙ্গালা উৎপত্তি হয়েছে বাঙ্গালা নামটি মুসলমান অধিকার কালে সৃষ্ট এবং ফারসি বাংলা থেকে পর্তুগিজ বাংলা ও ইংরেজি বেঙ্গল থেকে এসেছে বলে মত প্রকাশ করেন।
বাংলার ভৌগলিক বৈশিষ্ট্য
ভূ-প্রাকৃতিক গঠন বৈশিষ্ট্যের আলোকে বাংলার পাঁচটি ভাগ ধরা যায়ঃ উত্তর বাংলার পাললিক সমভূমি, ব্রহ্মপুত্র মেঘনা অন্তর্বর্তী ভূভাগ, ভাগীরথী মেঘনা অন্তবর্তী বদ্বীপ, চট্টগ্রামের অনুচ্চ পার্বত্য এলাকা এবং বর্ধমান অঞ্চলের অনুচ্চ পার্বত্য এলাকা। বাংলার ভূপ্রকৃতিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নদীর। বাংলার বিস্তীর্ণ ভু-ভাগ নদীবাহিত পলি দ্বারা গঠিত।
এবং পশ্চিম উত্তর ও পূর্ব বাংলার কিছু অংশ ছাড়া বাংলার প্রায় সবটাই ভূতত্ত্বের আলোকে নব সৃষ্ট। পশ্চিম, উত্তর ও পূর্ব দিকের সীমান্তবর্তী পর্বতমালা ছাড়া বাকি সবটাই সমতলভূমি এবং এই সমগ্র ভু-ভাগই নদীমালার ব দ্বীপ বা ডেলটা বলে অনেকেই মত প্রকাশ করেছেন। বাংলার ভূমি গঠনের ভূতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ করে কোন অংশ মূলত ডেলটা সে বিষয়ে বাগচি আরো তথ্য পরিবেশন করেন।
আরও পড়ুনঃ আবহাওয়া ও জলবায়ুর সম্পর্ক
বাঁকুড়া, বর্ধমা্ বীরভূম এবং মেদিনীপুর জেলার পশ্চিমাংশ ছোটনাগপুর পর্বত শাখারই বিস্তৃতি উপরিভাগে সামান্য পলি মেদিনীপুরের পূর্বাংশ সমভূমি উত্তর-পূর্ব ও পূর্বে অবস্থিত সিলেট ত্রিপুরা চট্টগ্রাম পর্বতমালা টারশিয়ারি পাহাড়। প্রাচীন বাংলার ভৌগোলিক পরিচয় সমূহ একটি অংশ হল বাংলার ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য।
বাংলার নদ নদী
প্রাচীন বাংলার ভৌগোলিক পরিচয় সমূহ এর আরেকটি বিষয় হলো বাংলার নদ নদী। বাংলার প্রধান নদী গুলোর স্রোত ধারায় বাংলাকে মূলত চারটি বিভাগে বিভক্ত করেছেঃ উত্তর,পশ্চিম, মধ্য ও পূর্বভাগ। প্রত্যেকটি ভাগে যেমন রয়েছে নিজ নিজ ভৌগোলিক সত্তা তেমনি রয়েছে ঐতিহাসিক সত্তা। এছাড়া নদীর ক্রম পরিবর্তন রূপ অর্থাৎ যুগেযুগে নদীর খাত পরিবর্তন হওয়া নতুন নদীর সৃষ্টি।
প্রাচীন বাংলার ভৌগলিক পরিচয় সমূহ এর বিষয়ে আলোচনা করতে গেলে প্রাচীন বাংলার নদ নদী গুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা দেখা যায়। বাংলার নদনদীর মধ্যে গঙ্গায় প্রধান। এরপরে পদ্মা বর্তমানে গঙ্গার মূল প্রবাহ যা পূর্ব দক্ষিণগামী হয়ে বাংলাদেশের মধ্যভাগ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এবং চাঁদপুরের নিকটে মেঘনার সাথে মিলিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে জল প্রবাহ উৎসারিত করছে।
জল বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে ভাগীরথী গঙ্গার প্রথম ও আদি প্রবাহ বলে মত প্রকাশ করা হয়েছে। নদী বাংলার ভূ প্রকৃতির প্রধান বৈশিষ্ট্য। নদীর গতিপথ নিঃসন্দেহে এ অঞ্চলের প্রধান নিয়ন্ত্রণকারী শক্তি।
বাংলার জনপদ
প্রাচীন বাংলার ভৌগলিক পরিচয় সমূহ এর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পরিচয় হলো বাংলা জনপদ। বাংলার প্রাচীন জনপদসমূহের অবস্থিত অনেকাংশে ভূপ্রকৃতি এবং বিশেষ করে নদীর স্রোতধারা দ্বারা নির্ধারিত হয়েছে । প্রাচীন যুগে বাংলা বলতে সমগ্র দেশকে বোঝাত না এর বিভিন্ন অংশ বিভিন্ন নামে পরিচিত ছিল নাম গুলি বেশীর ভাগই প্রাচীন জনগোষ্ঠীর নাম অনুসারে প্রচলিত নাম।
নিম্নে এই জনপদগুলি সম্পর্কে আলোচনা করা হলোঃ
পুন্ড্রবর্ধন,বরেন্দ্র
পুন্ড্র পূর্বাঞ্চলীয় জনপদ সমূহের মধ্যে সুপ্রাচীন নাম পুন্ড্রদের আবাসস্থলয় পুন্ড্র বা পুন্ড্রবর্ধন নামে খ্যাত হয়েছিল। আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় শতাব্দীর মহাস্থান ব্রাহ্মী লিপিতে উল্লিখিত পুদনগর ও বগুড়ার মহাস্থান যে বিভিন্ন এবং পুন্ড্রনগর আবাসস্থল পূর্ব বর্ধমানের কেন্দ্র সে সম্পর্কে সন্দেহের অবকাশ নাই।
পুন্ড্রবর্ধনের অবস্থিতি অত্যন্ত স্পষ্ট ভাবে ধরা পড়েছে সপ্তম শতাব্দী চৈনিক ভ্রমণকারী জোয়ান চোয়াং এর বর্ণনায়। রাজনৈতিক ক্ষমতার সম্প্রসারণ অনেক সময় ভৌগোলিক অস্তিত্বসমূহের পরিমণ্ডল বৃদ্ধি করেছে যার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত পুন্ড্রবর্ধন। পুন্ড্রের সাথে সহ অবস্থান করছে আরেকটি প্রাচীন ভৌগোলিক সত্তা বরেন্দ্র বা বরেন্দ্রী।
বরেন্দ্র বর্ধনের ঐ অংশবিশেষ এর দক্ষিণে ছিল গঙ্গা ও পূর্বে করোতোয়া এবং পুন্ড্রবর্ধপুর ছিল বরেন্দ্রের প্রধান নগর।
সূক্ষ্ম ও রাঢ়
খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় শতাব্দীর পতঞ্জলির মহাভাষ্যে বঙ্গ ও পুন্ড্রের সাথে সূক্ষ্ম এর উল্লেখ রয়েছে। মহাকাব্যে ও পুরাণ সমূহে প্রাচ্যদেশে সূক্ষ্ম এর নাম পাওয়া যায়। ভীম তার পূর্বদেশ বিজয়া অভিযানে বঙ্গদে্র পরাজিত করে একে একে তাম্রলিপ্ত পর্বত সূক্ষ্মরাজ কে পরাজিত করেন। এবং সমুদ্র উপকূলবর্তী জনগোষ্ঠীকে পদানিত করেন।
তাম্রলিপ্ত বন্দরও সম্ভবত সুক্ষ্মেরয় অন্তর্ভুক্ত ছিল। সূক্ষ্ম দেশ বলতে পশ্চিমবাংলার দক্ষিণাঞ্চল কে বোঝা তো যদিও এর সীমান নির্ধারণ করা সম্ভব নয়। সুক্ষ্মের সঙ্গে সম্পর্কিত ভূভাগ ছিল রাঢ় যা জৈন সূত্রে লাঢ় বলেও উল্লেখিত হয়েছে। সূক্ষ্ম ছিল সম্ভবত রাঢ়েরই অংশবিশেষ এবং সম্ভবত দক্ষিণাংশ যা পরবর্তীকালে দক্ষিণ রাঢ় বলে অভিহিত হয়েছে।
দশম শতাব্দী থেকে বিভিন্ন লিপি ও সাহিত্যিক সূত্রের দুটি অংশের উল্লেখ পাওয়া যায় উত্তর রাঢ় ও দক্ষিণ রাঢ়। ভাগীরথীর পশ্চিম তীরে মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে দক্ষিনে সমুদ্র পর্যন্তই হয়তো বিস্তৃত ছিল রাঢ় দেশ।
গৌড়
গৌড় নামটি সুপ্রাচীন ও সুপরিচিত হলেও এর অবস্থান সম্পর্কে সঠিক ধারণা করা যায় না। বাংলার প্রাচীন জনপদ সমূহের যুগে যুগে সম্প্রসারণের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত গৌড়। এর খ্যাতি এতই বৃদ্ধি পেয়েছিল যে সমস্ত বাংলাকেই গৌড় দেশ বলে এক্ষা দেওয়া হতো। বাংলা বিহার অঞ্চলের অনেক নরপতিই গৌড়েশ্বর নামে খ্যাত ছিলেন।
সেন বংশের রাজারা গৌড়েশ্বর উপাধি ধারণ করেছিলেন।আদিকালের গৌড় বলতে বর্তমানের মুর্শিদাবাদ জেলা ও মালদা জেলার দক্ষিণ অংশকে বোঝায়। মালদা মুর্শিদাবাদ বীরভূম বর্ধমান অঞ্চলকে কেন্দ্র করে এর আদি পরিচিতি। শশাঙ্কের রাজত্বকালে উত্তর বাংলা এবং উড়িষ্যা পর্যন্ত গৌড় রাজ্যের বিস্তৃতি এ সময়ে ঘটে।
বঙ্গ
পুরানে প্রাচ্য দেশের তালিকায় বঙ্গের উল্লেখ রয়েছে। রামায়ণে অযোধ্যার সঙ্গে মৈত্রীসূত্রে আবদ্ধ বলে উল্লেখ করা হয়েছে বঙ্গ ছিল পূর্বাঞ্চলীয় সুপরিচিত একটি দেশ। অষ্টাদশ শতাব্দীর একটি সূত্রে সাগর থেকে ব্রহ্মপুত্র পর্যন্ত বিস্তৃত ভুভাগ বঙ্গ বলে বর্ণিত হয়েছে। বঙ্গের এই ভৌগোলিক পরিচিতি হিন্দু
বৌদ্ধ যুগ পেরিয়ে মুসলিম যুগের প্রাথমিক পর্যায়ে তো ছিলই খুব সম্ভবত বাঙ্গালাহ নামের বিকাশ পর্যন্তই ছিল।
সমতট
দক্ষিণ পূর্ব বাংলার আরেকটি প্রাচীন জনপদ সমতট। মেঘনা পূর্ববর্তী অঞ্চলের সমতট বলে পরিচিত ছিল এবং এই অঞ্চলের কেন্দ্র ছিল কুমিল্লা নিকটবর্তী এলাকা তবে একেবারে নির্দিষ্ট করে সমতটের সীমা নির্ধারণ সম্ভব নয়। কাল প্রবাহে সমতটের রাজনৈতিক ক্ষমতা প্রসারের ফলে বিশেষ করে চন্দ্র বংশের রাজত্বকালে কোন এক সময়ে সমতট ও বঙ্গ সমার্থক্যবোধক হয়েছে।
হরিকেল
হরিকেল জনপদের প্রথম লিপি উল্লেখ পাওয়া যায় কান্তি দেবের চট্টগ্রামে প্রাপ্ত তাম্রলিপিতে। পরবর্তীকালে চন্দ্র বংশীয় লিপিতেও হরিকেল রাজ্যের উল্লেখ আছে। বাংলাদেশের দক্ষিণপূর্ব সীমান্তে চট্টগ্রাম অঞ্চলে হরিকেল জনপদের আদি অবস্থিতি। চন্দ্র রাজাদের ক্ষমতা বিস্তারের ভৌগোলিক পরিধি হয়তো আরো প্রসারিত করেছিল।
প্রাচীন জনপদ বা ভৌগোলিক অস্তিত্বসমূহের যে আলোচনা করা হলো সেখানে একটা কথা স্পষ্ট যে তাদের সীমারেখা নির্দিষ্ট করা যেমন কঠিন তেমনি কঠিন যুগে যুগে তাদের সীমার বিস্তার ও সংকোচনে সঠিক তথ্য সংগ্রহ করা। কোম বা জনের নাম থেকে এসেছে তাদের বসবাস কেন্দ্রের আঞ্চলিক নাম। জনকে কেন্দ্র করে এক একটি রাষ্ট্রে বা রাজবংশের আধিপত্য স্থাপিত হয়েছে।
এই রাজনৈতিক সত্তা সংকোচন ও বিস্তারের সঙ্গে সঙ্গে জনপদটির সীমা সংকুচিত বা বিস্তারিত হয়েছে এবং তাই সব জনপদে সীমা সব সময় এক থাকে নি থাকা সম্ভবও নয়।
লেখকের মন্তব্য
প্রাচীন বাংলার ভৌগলিক পরিচয় সমূহ প্রসঙ্গে কয়েকটি সাধারণ মন্তব্য করা যেতে পারে। বাংলার এই ভুভাগে নদীর প্রভাবই সবচেয়ে প্রবল। নদীবাহিত পলি দিয়ে গঠিত অধিকাংশ ভুভাগ আর এই পলি করেছে বাংলাকে কৃষি প্রধান। এই নদী সৃষ্টি করেছে বাংলার ভূ-ভাগের প্রাকৃতিক সীমা যে সীমাকে অবলম্বন করেই গড়ে উঠেছে প্রাচীন যুগের জনপদ।
নদীর প্রধান প্রবাহ দিয়ে বিভক্ত হয়েছে পুন্ড্র, বঙ্গ বা সমতট। নদীর প্রবাহ তাদের গড়ে ওঠার প্রধান অবলম্বন। আমার এই পোস্টটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনাদের আত্মীয়স্বজন, বন্ধু বান্ধব সকলের কাছে দয়া করে শেয়ার করে দিন ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url