সমস্যা ভিত্তিক শিক্ষা কেন গুরুত্বপূর্ণ

প্রিয় পাঠক আপনি কি সমস্যা ভিত্তিক শিক্ষা কেন গুরুত্বপূর্ণ এ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি আপনার জন্য। সমস্যা ভিত্তিক শিক্ষা কেন গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্কিত পোস্টটিতে সমস্যা ভিত্তিক শিক্ষা কি, সমস্যা ভিত্তিক শিক্ষার পাঁচটি মূল বৈশিষ্ট্য, কিভাবে সমস্যা ভিত্তিক লার্নিং প্রয়োগ করবেন প্রভৃতি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। আপনি সমস্যা ভিত্তিক শিক্ষা কেন গুরুত্বপূর্ণ এ সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।


বর্তমান যুগে আধুনিক জীবন যাপন করার জন্য সমস্যা ভিত্তিক শিক্ষার গুরুত্ব অনেক। আপনি যদি সমস্যার ভিত্তিক শিক্ষা কেন গুরুত্বপূর্ণ এই সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

ভূমিকা

সমস্যা ভিত্তিক শিক্ষা কেন গুরুত্বপূর্ণ সে সম্পর্কে জানা আমাদের অনেক জরুরী। বর্তমান বিশ্ব মানে আধুনিক বিশ্ব যা আমাদের জীবনে প্রতিটি মুহূর্তেই চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীর জন্য এই চ্যালেঞ্জের মুখামুখি হতে হয় সর্বোচ্চ দক্ষতার সাথে। এতসব দক্ষতার জন্য শিক্ষার পদ্ধতি গুলো শুরু থেকেই বিকশিত হয়েছে। 

যার জন্য সমস্যা ভিত্তিক শিক্ষার পদ্ধতিটি শিক্ষাদানে বিরল ভাবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে যেন শিক্ষার্থীরা সমস্যা সমাধানে আলোচনা ও সমালোচনামূলক চিন্তাধারার দক্ষতা অর্জন করতে পারে। তাই সমস্যা ভিত্তিক শিক্ষা কেন গুরুত্বপূর্ণ সে সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান অর্জন করাতে হবে।

সমস্যা ভিত্তিক শিক্ষা কি?

সমস্যা ভিত্তিক শিক্ষার গুরুত্ব জানতে হলে আগে জানতে হবে সমস্যা ভিত্তিক শিক্ষা টা কি? সমস্যা ভিত্তিক শিক্ষা হলো এমন একটি শিক্ষা ব্যবস্থা যেখানে শিক্ষার্থীদের বাস্তব সমস্যাগুলির ওপর কাজ করতে হয় যেখানে কিছু শিক্ষক থাকে তাদের তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে। আধুনিক বিশ্বের বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে এই শিক্ষার প্রয়োগ করা হচ্ছে। 

বিশেষ করে মেডিকেল স্কুল থেকে উদ্ভব হয়েছে যেখানে শিক্ষার্থীদের প্রধান লক্ষ্য হলো বাস্তব জীবনের সমস্যা সমাধানের জন্য জ্ঞান ও তথ্য প্রয়োগ করা।

সমস্যা ভিত্তিক শিক্ষার পাঁচটি মূল বৈশিষ্ট্য

সমস্যা ভিত্তিক শিক্ষা কেন গুরুত্বপূর্ণ তা জানতে হলে অবশ্যই এর পাঁচটি বৈশিষ্ট্য জানতে হবে। বর্তমান বিশ্বের বাস্তব চ্যালেঞ্জগুলি সমাধান করার জন্য সে সকল জ্ঞান প্রয়োগ করা। এটি বিভিন্ন শাখা প্রশাখায় একটি অন্যতম মূল্যবান শিক্ষাগত পদ্ধতিতে পরিণত করতে পারে। নিম্নের সমস্যা ভিত্তিক শিক্ষার পাঁচটি মূল বৈশিষ্ট্য আলোচনা করা হলো:
  • প্রামানিক সমস্যা: বর্তমান বিশ্বের বাস্তব চ্যালেঞ্জগুলিকে এমন ভাবে উপস্থাপন করে যা শেখার অভিজ্ঞতাকে প্রাসঙ্গিক ও ব্যবহারিক করে গড়ে তোলে।
  • কার্যকরী শিক্ষা: সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বাড়াতে শিক্ষার্থীদের মুখস্থ বিদ্যার পরিবর্তে সক্রিয়ভাবে সমস্যার সাথে জড়িত থাকে এমন জ্ঞান দেওয়া যা বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
  • স্ব-নির্দেশিত শিক্ষা: সমস্যা ভিত্তিক শিক্ষা কেন গুরুত্বপূর্ণ তা জানতে হলে বৃদ্ধি করতে হবে স্বনির্দেশিত শিক্ষার প্রয়োজন। এটি সমস্যা ভিত্তিক শিক্ষাকে প্রচার করতে সাহায্য করে, যা একজন শিক্ষার্থী তার নিজস্ব শেখার প্রক্রিয়ার দায়িত্ব নেই। স্ব-নির্দেশিত শিক্ষা একটি এমন ব্যবস্থা যা তথ্য সংগ্রহ করতে এবং সমস্যা সমাধানের জন্য উপায় সংগ্রহ করতে তৎপরতা হয়ে থাকে।
  • সহযোগিতা: সমস্যা ভিত্তিক শিক্ষার তিনটির একটি অন্যতম আলোচনা যেখানে শিক্ষার্থীরা ছোট ছোট দলে কাজ করে এবং একসাথে আলোচনার মাধ্যমে সাহায্য সহযোগিতা করে নিজের দক্ষতা বৃদ্ধি করে এবং সমাধান গুলিকে বিকাশ করে।
  • ইন্টার ডিসিপ্লিনারি অ্যাপ্রচ: সমস্যা ভিত্তিক শিক্ষার ক্ষেত্রে ইন্টারডিসিপ্লিনারির উপস্থিত হওয়া আবশ্যক। এখানে বিভিন্ন বিষয়কে চিন্তাভাবনা করতে উৎসাহিত করা হয় এবং যে কোন কারণ সমস্যাগুলির জন্য দক্ষতার ক্ষেত্র থেকে বিভিন্ন জ্ঞান ও দক্ষতার প্রয়োজন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

সমস্যা ভিত্তিক শিক্ষা কেন গুরুত্বপূর্ণ

আধুনিক বিশ্বের আধুনিক শিক্ষায় সমস্যা ভিত্তিক শিক্ষা পদ্ধতির বিভিন্ন রকম সুবিধা তাৎপর্যপূর্ণ গুরুত্ব রয়েছে। সমস্যা ভিত্তিক শিক্ষা পদ্ধতিটি সমালোচনা মূলক চিন্তার দক্ষতা বৃদ্ধি করে যা কোন শিক্ষার্থীর জন্য আধুনিক বিশ্বে কোন বাস্তব সমস্যার মুখোমুখি হতে সহজলভ্য হয়ে থাকে। এই শিক্ষা পদ্ধতিটি কোন শিক্ষার্থীকে শুধুমাত্র বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়ার উপায় দেয় না। 

বরং তাদের সমস্যার সমাধানের দক্ষতা কেউ গুছিয়ে রাখে। অধিকতর সমস্যা ভিত্তিক শিক্ষা পদ্ধতিটি একজন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সহযোগিতা করে এবং সনি নির্দেশিত শিক্ষায় তথ্য সংগ্রহ করতে সক্ষম করে এবং কোন শিক্ষার্থীকে শিক্ষা গ্রহণ করার ইচ্ছা ও জ্ঞান ধারণ করে উন্নত করতে সাহায্য করে থাকে। 

তাছাড়াও সমস্যাভিত্তিক শিক্ষা পদ্ধতিটি পেশাদার সেটিংস গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা এবং বিভিন্ন বিভাগীয় চিন্তাভাবনাকে উৎসাহিত করে। কোন বাস্তব বিশ্বের সমস্যা গুলোকে বিভিন্ন স্থান থেকে উদ্ভাবন করতে সাহায্য করে। এই পদ্ধতিটি দলবদ্ধ ভাবে কাজ করতে ও পেশাদার সেটিংস এর গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা দেখায়। সমস্যা পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের জন্য উপযুক্ত। 

এবং বিভিন্ন শিক্ষামূলক পরিবেশে উপস্থাপন করতে নিশ্চিত করে যা বিভিন্ন সমস্যা ভিত্তিক শিক্ষা একটি শিক্ষামূলক পদ্ধতিকে সফল করে তোলে। যার মাধ্যমে আধুনিক বিশ্বে কোন একটি জটিল সমস্যা কে শিক্ষার্থীরা চির বিকশিত করতে সক্ষম হয়।

কিভাবে সমস্যা ভিত্তিক লার্নিং প্রয়োগ করবেন

সমস্যা ভিত্তিক শিক্ষা পদ্ধতির ক্ষেত্রে বিভিন্ন কার্যক্রমের মধ্যে সর্বোচ্চ দিক হলো সহযোগিতা ও সম্পৃক্ততা। নিম্নে পাঁচটি কার্যকলাপের কথা উল্লেখ করা হলো যেগুলো এই পদ্ধতিটিকে দক্ষতার সাথে শিখতে সাহায্য করে:
  • প্রশ্ন জিজ্ঞাসাঃ সমস্যা ভিত্তিক শিক্ষা পদ্ধতিতে ক্ষেত্রে এমন হয়ে থাকে যে একজন শিক্ষার্থীর দৃষ্টিভঙ্গি কেমন হবে তা নির্ভর করে তার প্রশ্ন গুলির ওপর। একজন শিক্ষার্থী পাট অর্জনের সময় বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে নিজেই নিজেকে যত বেশি প্রশ্ন করবে তত বেশি নিজের চিন্তাকে উদ্দীপ্ত করতে পারবে এবং এই প্রশ্নগুলি বিভিন্ন সমস্যার পরামর্শ দিতে সক্ষম হবে যা শিক্ষার পূর্ণ লক্ষ্য।
  • বাস্তব জীবনে পরিস্থিতি ব্যবহারঃ সমস্যা ভিত্তিক শিক্ষার মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী যে জ্ঞান শিখতে পারে সেই জ্ঞানের সাথে বাস্তব জীবনের উদাহরণ গুলি অনুসন্ধানের সাথে সংযোগ করতে পারে। এ সকল বাস্তব জীবনের উদাহরণ গুলি সহজেই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম টেলিভিশন এবং নিজের চারপাশে ঘুরতে থাকা বিভিন্ন পরিস্থিতিতে পাওয়া যেতে পারে।
  • তথ্য বিনিময়ঃ সমস্যা ভিত্তিক শিক্ষা পদ্ধতির মধ্যে রয়েছে তথ্য বিনিময় প্রসেস। এই প্রসেসটি হলো একজন শিক্ষার্থী যে সকল সমস্যাগুলি শিখতে পারে তার নিজের শিক্ষক, বন্ধু বা পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে প্রশ্ন, মতামত চাওয়া বা তাদের শেখানোর আকারে আলোচনা করতে পারে। একই ভাবে নিজের কিছু কিছু সমস্যার দক্ষতা পাঠ করতে পারে ও চিনতে পারে যেমন ভাবে যোগাযোগ, সৃজনশীল চিন্তাভাবনা ও সমস্যা সমাধান করা যেতে পারে।
  • সতর্ক হওয়াঃ সমস্যা ভিত্তিক শিক্ষা পদ্ধতি গ্রহণের সময় কিছু কিছু বিষয়ের প্রতি অবশ্যই সতর্ক হতে হবে। নিজ নিজ দায়িত্বে নিজে শেখার জ্ঞানের কৌশলটি দীর্ঘ সময় ধরে মনে রাখার জন্য কিছু উদ্যোগ নেয়া উচিত যেমন: সশৃঙ্খলা ও মিথস্ক্রিয়াকে জোর দেওয়া। এই বিষয় নিয়েও সতর্ক হতে হবে যে নিজের আশেপাশে সমস্যা গুলি নিয়ে গবেষণা করা ও কোনো অসুবিধা মনে করলে শিক্ষকের কাছে সাহায্যের আবেদন করা।
  • টুকে নেওয়াঃ সমস্যা ভিত্তিক শিক্ষা পদ্ধতির এটি একটি নতুন কৌশল। এই কৌশলটি হল যেকোনো জিনিস শেখার একটি উপায় হিসেবে কোন ঐতিহ্যবাহী বিষয়কে তুলে ধরা যা পাঠ্য বইয়ের মত একই রকম বিষয় কপি না করা। নিজে পাঠ করা এবং নিজের ভাষায় লেখাটায় উপযুক্ত বলে মনে করা।
উপরই একটা সকল পন্থা গুলি সমস্যা ভিত্তিক শিক্ষা পদ্ধতিকে গতিশীল ও আকর্ষণ করে তোলে এবং যেকোনো সমস্যার সমাধান ও সমালোচনামূলক চিন্তা ভাবনা প্রক্রিয়া অংশগ্রহণে উৎসারিত করে।

সমস্যা ভিত্তিক শিক্ষার উদাহরণ কি?

সমস্যা ভিত্তিক শিক্ষা পদ্ধতি একটি নমনীয় এবং গতিশীল পদ্ধতি যার কারণে এটি একাধিক ক্ষেত্রে ব্যবহারযোগ্য। এ সকল পদ্ধতির জন্য সমস্যা ভিত্তিক শিক্ষাবিদ্যালয় থেকে উচ্চ শিক্ষা পর্যন্ত শিক্ষক ও পেশাদারদের জন্য একটি পছন্দের শিক্ষা পদ্ধতি। সমস্যা ভিত্তিক শিক্ষার কার্যক্রমের জন্য একটি উদাহরণ হলো একজন শিক্ষার্থীর নিমজ্জিত শেখার অভিজ্ঞতা। 

ও ব্যবহারিক দক্ষতা বিকাশের জন্য বাস্তব বিশ্বের PBL পরিস্থিতি গুলি প্রদর্শন করে শিক্ষার বিভিন্ন ক্ষেত্রে এবং স্তর জোরে প্রয়োগ করা যেতে পারে। নিম্নের সমস্যা ভিত্তিক শিক্ষার উদাহরণ গুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হলো:

1.চিকিৎসা শিক্ষা

দৃশ্যকল্পঃ সমস্যা ভিত্তিক শিক্ষার জন্য স্বাস্থ্য সেবার রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা শিক্ষায় একটি ভালো উদাহরণ হতে পারে যেমন- একজন রোগী কোন অবস্থায় আছে তা পর্যবেক্ষণ করতে এবং চিকিৎসা পরিকল্পনা প্রস্তাব করতে এবং কিছু বাহ্যিক দিক গুলি বিবেচনা করতে অবশ্যই তাদেরকে সহযোগিতামূলকভাবে কাজ করতে হয় যেখানে তারা সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম হয়ে থাকে।

ফলাফলঃ এই সকল সহযোগিতামূলক কাজের ফলে শিক্ষার্থীরা মেডিকেল টিমে কাজ করতে শেখে এবং তাদের ক্লিনিকাল যুক্তির দক্ষতা বিকাশ করে।

2.এমবিএ প্রোগ্রাম 

দৃশ্যকল্পঃ এমবিএ প্রোগ্রাম সমস্যা ভিত্তিক শিক্ষার জন্য এটি একটি উদাহরণস্বরূপ ব্যবসার কৌশল এবং বিপণন। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের প্রতিযোগিতামূলক লেন্ডস্কেপ, বাজারের অবস্থান ও এর আর্থিক দিকগুলো গবেষণা করতে হবে। এমবিএ শিক্ষার্থীরা ব্যবসায়িক কৌশলের জন্য দলভুক্ত হয়ে কাজ করে।

ফলাফলঃ এক্ষেত্রে ফলাফল যা হয় তা হল এমবিএ শিক্ষার্থীরা আধুনিক বিশ্বের পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যা সমাধান ও কৌসর্গত সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হয়ে থাকে যা দলগত দক্ষতা বাড়াতে বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করে থাকে।

3.আইন স্কুল

দৃশ্যকল্পঃ আইনি স্কুল সমস্যা ভিত্তিক শিক্ষা পদ্ধতির একটি অন্যতম উদাহরণ হিসেবে গণ্য হয়ে থাকে। যেখানে আইনি শিক্ষার্থীরা একের অধিক আইনি সমস্যা এবং জটিল আইনি মামলা উপস্থাপন করতে পারে। আইনি মামলা বিশ্লেষণ এর ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের অবশ্যই নজির নিয়ে গবেষণা করতে হবে। আইনি মামলায় আইনি দলের যুক্তি উপস্থাপন করতে হবে।

ফলাফলঃ আইনি মামলা বিশ্লেষণের জন্য যে সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় তার ফলাফল তাদের আইনি গবেষণা সমালোচনা মূলক, চিন্তাভাবনা এবং যোগাযোগ দক্ষতা বাড়িয়ে আইনি অনুশীলনের জন্য প্রস্তুত করে তোলে।

Key Takeaways: Key takeaways এর মাধ্যমে সমস্যা ভিত্তিক শিক্ষার গুরুত্ব হিসেবে আধুনিক বিশ্বে অনেক স্বনামধন্য স্কুল থেকে পাঠদান করা হয়ে থাকে। বর্তমান যুগে যেখানে PBL পদ্ধতিতে শারীরিক এবং ডিজিটাল অনুশীলনগুলিকে একত্রিত করা হয়েছে সেখান থেকে অনেক সফল ক্ষেত্রে প্রমাণিত হয়েছে এবং যেখানে PBL এর পদ্ধতিকে রূপান্তরিত করা হয়েছে।

সসচরাচর যা জিজ্ঞেস করা হয়

সমস্যা ভিত্তিক শিক্ষা পদ্ধতি গ্রহণের পূর্বে সচারচর যা জিজ্ঞেস করা হয় তা তুলে ধরা হলো:

সমস্যা ভিত্তিক লার্নিং পদ্ধতি কি? : সমস্যা ভিত্তিক শিক্ষা হলো একটি শিক্ষামূলক পদ্ধতি যেখানে এসব শিক্ষার্থীরা দলবদ্ধভাবে বাস্তব বিশ্বের বিভিন্ন সমস্যা বা পরিস্থিতি সমাধান করতে শেখে। পিবিএল PBL দ্বারা মূলত সমালোচনা মূলক, চিন্তা ভাবনা, সহযোগিতা, জ্ঞানের ব্যবহারিক প্রয়োজনের উপর কাজ করে থাকে।

একটি সমস্যা ভিত্তিক শিক্ষা সমস্যার উদাহরণ কি? : সমস্যা ভিত্তিক শিক্ষার একটি উদাহরণ হল "একটি স্থানীয় পুকুরের বাস্তু তন্ত্র, মাছের সংখ্যা হ্রাস, জলের মানের সমস্যাগুলির কারণ গবেষণা ও তদন্ত করুন। এরপর ইকো সিস্টেম উদ্ধারের জন্য একটি সমাধান প্রস্তাব করুন এবং সে সকল মাছের সম্পৃক্ততার পরিকল্পনা করুন"।

শ্রেণিকক্ষে কিভাবে সমস্যা ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবহার করা যেতে পারে? : সমস্যা ভিত্তিক শিক্ষার মধ্যে একটি আধুনিক বিশ্বের সমস্যা প্রবর্তন করা, শিক্ষার্থীদের গোষ্ঠী গঠন করা, এবং সমস্যা সমাধানের পথ নির্দেশ করে গবেষণা করা, আলোচনার সুবিধা দেওয়া ও প্রতিফলন প্রচার করা যেতে পারে। এই পদ্ধতিটি শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক দক্ষতাকে বৃদ্ধি করে।

লেখকের মন্তব্য

পরিশেষে বলা যায় যে আধুনিক বিশ্বে বাস্তব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য শিক্ষার্থীদের সর্বোত্তম দক্ষতার সাথে সজ্জিত করার জন্য শিক্ষার পদ্ধতি গুলো বছরের পর বছর ধরে ক্রমাগত বিকশিত হয়েছে। এই কারণেই সমস্যা ভিত্তিক শিক্ষার পদ্ধতিটি শিক্ষাদানে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয় যাতে শিক্ষার্থীরা সমস্যা সমাধানে সমালোচনা মূলক চিন্তাভাবনা এবং বিশ্লেষণাত্মক দক্ষতা পাঠ করতে পারে। 

এজন্য বাস্তব বিশ্বে সমস্যা ভিত্তিক শিক্ষা পদ্ধতি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আমার এই আর্টিকেলটি আপনাদের যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনাদের বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়-স্বজন সকলের কাছে শেয়ার করে দিবেন।







এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url